কারক চেনার সহজ ও শর্টকাট টেকনিক
(৯০তম পর্ব)
Bangladesh Online University (BOU) - (যা সকল বিষয়ের সাধারণ জ্ঞানের
তথ্য ভান্ডার) একটি সেবামূলক Online ভিত্তিক
ফ্রি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা সকলের জন্য উন্মুক্ত।
তাই উপকৃত হলে দোয়া করতে ভুলবেন না।
Author and Compiler
Md. Izabul Alam,
Principal-BOU, Gulshan-2- Dhaka, Bangladesh.
01716508708,
izabulalam@gmail.com
কারক চেনার সহজ ও শর্টকাট টেকনিক
কারকঃ
বাক্যের মধ্যে ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের যে
সম্পর্ক, সেই সম্পর্ককে বলা হয় কারক। কারক ছয় প্রকার। যথাঃ-
কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ কারক, সম্প্রদান
কারক, অপাদান কারক এবং অধিকরণ কারক।
বিভক্তিঃ
বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের
অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে। যেমন- শিশুটি
ছাদে বসে আছে। বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ + এ বিভক্তি)।
বিভক্তি প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ-
(ক)
নাম বা শব্দ বিভক্তি
(খ)
ক্রিয়া বিভক্তি
বাংলা শব্দ বিভক্তি সাত প্রকারঃ
→ প্রথমা — ০
→ দ্বিতীয়া — কে, রে
→ তৃতীয়া — দ্বারা, দিয় (দিয়ে), কর্তৃক
→ চতুর্থী — কে, রে
→ ৫মী — হইতে, থেক চেয়ে, হতে
→ ষষ্ঠী — র, এর
→ সপ্তমী — তে, এ, য়
কারক নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতিঃ
বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে
কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে।
কারক ৬ প্রকার। যথাঃ-
(১) কর্তৃকারক
(২) কর্মকারক
(৩) করণকারক
(৪) সম্প্রদান কারক
(৫) অপাদান কারক
(৬) অধিকরণ কারক
নিচে কারক নির্ণয়ের উপায় সংক্ষেপে ছক আকারে
দেয়া হলোঃ-
ক্রিয়াকে প্রশ্ন করুন-
→ কে, কারা?
→ কী, কাকে?
→ কী দিয়ে?
→ কাকে দান করা হল?
→ কি হতে বের হল?
→ কোথায়, কখন, কী বিষয়ে?
কর্তৃকারকঃ
বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া
সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে।
ক্রিয়াকে ‘কে বা কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে
উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক।
উদাহরণ- গরু ঘাস খায়।
(কে খায়): কর্তৃকারকে শূণ্য বিভক্তি
কর্তকারকের প্রকারভেদ:
কর্তৃকারক বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈচিত্র
বা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে-
(ক) মুখ্যকর্তাঃ
যে নিজে নিজেই ক্রিয়া সম্পাদন করে সে মূখ্য কর্তা।
উদাহরণ- মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে।
(খ) প্রযোজক
কর্তাঃ মূলকর্তা যখন অন্যকে কোন কাজে নিয়োজিত করে তা সম্পন্ন করায় তখন তাকে প্রযোজক
কর্তা বলে।
উদাহরণ- শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
এখানে শিক্ষক প্রযোজক কর্তা।
(গ) প্রযোজ্য
কর্তাঃ মূলকর্তার করণীয় কার্য যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয়, তাকে প্রযোজ্য কর্তা বলে।
উদাহরণ- শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন।
এখানে ছাত্র প্রযোজ্য কর্তা।
(ঘ) ব্যতিহার
কর্তাঃ কোন বাক্যে যে দুটো কর্তা একত্রে এক জাতীয় ক্রিয়া সম্পাদন করে তাদের ব্যতিহার
কর্তা বলে।
উদাহরণ- রাজায় রাজায় লড়াই।
কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহারঃ
→ প্রথমা বিভক্তিঃ হামিদ বই পড়ে।
→ দ্বিতীয়া বিভক্তিঃ বসিরকে যেতে হবে।
→ তৃতীয়া বিভক্তিঃ ফেরদৌসী কর্তৃক সাহানামা রচিত হয়েছে।
→ ষষ্ঠী বিভক্তিঃ আমার যাওয়া হয়নি।
→ সপ্তমী বিভক্তিঃ গায়ে মানে না, আপনি মোড়ল, ঘোড়ায় গাড়ি
টানে, গরুতে দুধ দেয়।
কর্মকারকঃ
• যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন
করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে।
• ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে
যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্মকারক।
• বাক্যে দুইটি কর্ম থাকলে বস্তুবাচক কর্মটিকে
প্রধান বা মুখ্য কর্ম ও ব্যক্তিবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে। তবে দুইটি একই ধরনের কর্ম
থাকলে প্রথম কর্মটিকে উদ্দেশ্য কর্ম ও দ্বিতীয়টিকে বিধেয় কর্ম বলে। যেমন- ‘দুধকে
মোরা দুগ্ধ বলি, হলুদকে বলি হরিদ্রা’। এখানে ‘দুধ’ ও ‘হলুদ’ উদ্দেশ্য কর্ম, আর ‘দুগ্ধ’ ও ‘হরিদ্রা’ বিধেয় কর্ম।
• কর্তা নিজে কাজ না করে কর্মকে দিয়ে কাজ
করিয়ে নিলে তাকে প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম বলে।
• ক্রিয়াপদ ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে
তাকে সমধাতুজ কর্ম বলে।
উদাহরণ–
(১)
বাবা আমাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। (কাকে দিয়েছেন? আমাকে। কী দিয়েছেন? ল্যাপটপ,
আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), ল্যাপটপ- কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি
(মুখ্য কর্ম)।
(২)
ডাক্তার ডাক।
(কাকে ডাক?) ডাক্তার, ডাক্তার এখানে কর্মকারকে
শূণ্য বিভক্তি।
(৩)
আমাকে একটা বই দাও।
(কাকে দাও? আমাকে। কী দাও? বই): আমাকে- কর্মকারকে
দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), বই- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)।
(৪) আমারে
তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থণা।
(কাকে করিবে? আমারে): কর্মকারকে দ্বিতীয়া
বিভক্তি।
(৫) তোমার
দেখা নাই।
(কার দেখা? তোমার): কর্মকারকে ষষ্ঠী বিভক্তি।
(৬) জিজ্ঞাসিবে
জনে জনে।
(কাকে জিজ্ঞাসিবে? জনে জনে): কর্মকারকে সপ্তমী
বিভক্তি।
করণ কারকঃ
• করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়।
• যে উপাদান বা উপায়ে ক্রিয়া সম্পাদন করা
হয়, তাকে করণ কারক বলে।
• ক্রিয়াকে ‘কী দিয়ে/ কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন
করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
উদাহরণঃ
(১) পিয়াল
কলম দিয়ে লিখছে।
(কী দিয়ে লেখে? কলম দিয়ে): করণ কারকে তৃতীয়া
বিভক্তি।
(২)
কীর্তিমান হয় সাধনায়।
(কী উপায়ে হয়? সাধনায়): করণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি।
(৩) ডাকাতেরা
গৃহকর্তার মাথায় লাঠি মেরেছে।
(কী দিয়ে মেরেছে? গুলি): করণ কারকে শূণ্য
বিভক্তি।
(৪) লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়।
(কী দিয়ে চাষ করা হয়? লাঙ্গল দিয়ে): করণ
কারকে তৃতীয়া বিভক্তি।
(৫) মন
দিয়ে পড়াশুনা কর।
(কী উপায়ে/ দিয়ে কর? মন দিয়ে): করণ কারকে
তৃতীয়া বিভক্তি।
(৬) ফুলে
ফুলে ঘর ভরেছে।
(কী দিয়ে ভরেছে? ফুলে ফুলে): করণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি।
(৭) শিকারি
বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
(কী দিয়ে/ উপায়ে চেনা যায়? গোঁফে): করণ
কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
(৮) সাধনায়
সব হয়।
(কী উপায়ে সব হয়? সাধনায়): করণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি।
(৯) এ
সুতায় কাপড় হয় না।
(কী দিয়ে হয় না? সুতায়): করণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি।
সম্প্রদান কারকঃ
• যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেয়া হয়, তাকে
সম্প্রদান কারক বলে।
• ‘কাকে দান করা হল’ প্রশ্নের উত্তরই হলো সম্প্রদান
কারক।
• সম্প্রদান কারকের নিয়ম অন্যান্য নিয়মের
মতোই সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকেই এসেছে। তবে অনেক বাংলা ব্যাকরণবিদ/ বৈয়াকরণ একে আলাদা
কোনো কারক হিসেবে স্বীকার করেন না। তারা একেও কর্ম কারক হিসেবেই গণ্য করেন।
• কর্মকারক ও সম্প্রদান কারকের বৈশিষ্ট্যও
একই। কেবল স্বত্ব ত্যাগ করে দান করার ক্ষেত্রে কর্মকারক হিসেবে গণ্য না করে কর্মপদটিকে
সম্প্রদান কারক হিসেবে গণ্য করা হয়।
• সম্প্রদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তির বদলে
চতুর্থী বিভক্তি যুক্ত হয়। চতুর্থী বিভক্তি আর কোথাও যুক্ত হয় না। অর্থাৎ, ‘কে/ রে’
বিভক্তি দুটি সম্প্রদান কারকের সঙ্গে থাকলে তা চতুর্থী বিভক্তি। অন্য কোন কারকের সঙ্গে
থাকলে তা দ্বিতীয়া বিভক্তি।
• তবে কোথাও নিমিত্তার্থে ‘কে’ বিভক্তি যুক্ত
হলে তা চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল। (নিমিত্তার্থে চতুর্থী
বিভক্তি)।
উদাহরণঃ
(১) ভিখারিকে
ভিক্ষা দাও।
(কাকে দান করা হল? ভিখারিকে।): সম্প্রদান কারকে
চতুর্থী বিভক্তি।
(২) অসহায়কে
খাদ্য দাও।
(কাকে দান করা হল? অসহায়কে।): সম্প্রদান কারকে
চতুর্থী বিভক্তি।
(৩) অন্ধজনে
দেহ আলো, মৃতজনে দেহ প্রাণ।
(কাকে দান করা হল? অন্ধজনে।): সম্প্রদান কারকে
সপ্তমী বিভক্তি।
(৪) সমিতিতে
চাঁদা দাও।
(কাকে দান করা হল? সমিতিতে।): সম্প্রদান কারকে
সপ্তমী বিভক্তি।
অপাদান কারকঃ
• যা থেকে কোন কিছু গৃহীত, বিচ্যুত, জাত, বিরত,
আরম্ভ, দূরীভূত, রক্ষিত, ভীত হয়, তাকে অপাদান কারক বলে।
• অর্থাৎ, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হওয়া
বোঝায়।
• ‘কি হতে বের হল’ প্রশ্নের উত্তরই অপাদান
কারক।
উদাহরণঃ
(১) গাছ
থেকে পাতা পড়ে।
(কি হতে বের হল/ পড়ল? গাছ থেকে): অপাদান কারকে
পঞ্চমী বিভক্তি।
(২) শুক্তি
থেকে মুক্তি মেলে।
(কি হতে বের হল? শুক্তি থেকে): অপাদান কারকে
পঞ্চমী বিভক্তি।
(৩)
জমি থেকে ফসল পাই।
(কি হতে বের হল? জমি থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি।
(৪)
দেশ থেকে হায়েনারা চলে গেছে।
(কি হতে বের হল? দেশ থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি।
(৫)
বিপদ থেকে বাঁচাও।
(কি হতে বাঁচাও? বিপদ হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী
বিভক্তি।
(৬)
বাঘকে ভয় পায় না কে?
(কি হতে ভয় বের হল? বাঘ হতে): অপাদান কারকে
দ্বিতীয়া বিভক্তি।
(৭) মনে
পড়ে সেই জৈষ্ঠ্যের দুপুরে পাঠশালা পলায়ন।
(কি হতে বের হল/ পলায়ন? পাঠশালা হতে): অপাদান
কারকে শূণ্য বিভক্তি।
(৮)
বাবাকে বড্ড ভয় পাই।
(কি হতে ভয় বের হয়? বাবা হতে): অপাদান কারকে
দ্বিতীয়া বিভক্তি।
(৯)
তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন।
(কি হতে বের হয়েছেন/ এসেছেন? চট্টগ্রাম হতে):
অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি।
(১০) বিমান
থেকে বোমা ফেলা হয়েছিলো।
(কি হতে বের হল/ ফেলা হল? বিমান হতে): অপাদান
কারকে পঞ্চমী বিভক্তি।
অপাদান কারকের বিস্তারিতঃ
বিদ্যাসাগর এর সংজ্ঞা দিয়েছেন- ‘যাহা হইতে
বিশ্লেষ হয়, তাহাকে অপাদান কারক বলে।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘ভাষা-প্রকাশ
বাঙ্গালা-ব্যাকরণ ‘ গ্রন্থে এই কারকের সংজ্ঞা দিয়েছেন– ‘যাহা হইতে কোনও বস্তু বা ব্যক্তি
উৎপন্ন, চলিত, নির্গত, নিঃসৃত, উত্থিত, পতিত, প্রেরিত, গৃহীত, দৃষ্ট, শ্রুত, সূচিত,
নিবারিত, অন্তর্হিত, রক্ষিত ইত্যাদি হয়— তাহাকে অপাদান-কারক বলে।’
এই কারকের জন্য সাধারণত হইতে>হতে, থেকে,
চাহিয়া>চেয়ে বিভক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ব্যাকরণ এগুলোকে কারক-বিভক্তির তালিকায়
পঞ্চমী বিভক্তি বলা হয়। এই বিভক্তিগুলো শব্দের সাথে যুক্ত অবস্থায় ব্যবহৃত হয়। তাই
এগুলোর মান দাঁড়ায় অনুসর্গের মতো। যেমন-
ছাদ থেকে পানি পড়ছে। পুকুর থেকে ফিরে এলাম।
ইত্যাদি।
পঞ্চমী বিভক্তি ছাড়াও অপাদান কারক হতে পারে।
যেমন–
(১) এ
বিভক্তি : লোকমুখে এ কথা জেনেছি।
(২)
তে বিভক্তি : খনিতে সোনা পাওয়া যায়।
(৩)
র/এর : রাতে বাঘের ভয়ে ঘরের বাহির হই না।
অধিকরণ কারকঃ
• ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময়
এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে।
• ক্রিয়াকে ‘কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে’ দিয়ে
প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।
উদাহরণঃ
(১)
পুকুরে মাছ আছে।
(কোথায় আছে? পুকুরে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
(২)
বনে বাঘ আছে।
(কোথায় আছে? বনে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
(৩)
ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে।
(কোথায় বাঁধা আছে? ঘাটে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
(৪)
রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা।
(কোথায় বাঁধা? দুয়ারে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
(৫)
সকালে সূর্য ওঠে।
(কখন ওঠে? সকালে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
(৬) এ
বাড়িতে কেউ নেই।
(কোথায় কেউ নেই? বাড়িতে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
(৭) নদীতে
পানি আছে।
(কোথায় আছে? নদীতে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
(৮)
রবিন অঙ্কে কাঁচা।
(কী বিষয়ে কাঁচা? অঙ্কে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী
বিভক্তি
(৯)
সজিব ব্যাকরণে ভাল।
(কী বিষয়ে কাঁচা? ব্যাকরণে): অধিকরণ কারকে
সপ্তমী বিভক্তি
(১০)
ঘরের মধ্যে কে রে?
(কোথায়? ঘরে): অধিকরণ কারকে অনুসর্গ মধ্যে
(১১)
বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়।
(কোথায় থেকে দেখা যায়? বাড়ি থেকে): অধিকরণে
পঞ্চমী বিভক্তি*
শেষ উদাহরণটিতে নদী বাড়ি থেকে বের হয়নি,
তাই এটি অপাদান কারক নয়। নদী বাড়ি থেকেই দেখা যায়। অর্থাৎ, ক্রিয়াটি বাড়িতেই ঘটছে,
তাই এটি অধিকরণ কারক।
অপাদান ও অধিকরণ কারকের সম্পর্ক
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপাদান কারকের সাথে অধিকরণের
একটি নিবিড় সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। যেমন–
(১) স্থানবাচক অপাদানঃ ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলাম।
(‘ঢাকা’ স্থান, কিন্তু কারকের বিচারে ‘ঢাকা থেকে’ অপাদান)।
(২) কাল বাচক অপাদনঃ সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।
(‘সকাল’ কাল বা সময়, কিন্তু কারকের বিচারে ‘সকাল থেকে’ অপাদান)।
(৩) আধার বাচক অপাদানঃ তিল থেকে তেল হয়।
(‘তিল’ আধার বা পাত্র, কিন্তু কারকের বিচারে ‘তিল থেকে’ অপাদান)।
এছাড়া তারতম্যের বিচারে অপাদান হয়। যেমন–
আমার চেয়ে সে চালাক।
অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য
অপাদান ও অধিকরণ কারক আলাদা করতে গিয়ে অনেকেরই
সমস্যা হয়। অপাদান ও অধিকরণ কারককে আলাদা করে চেনার সহজ উপায় হলো, অপাদান কারক থেকে
কোনো কিছু বের হয় বোঝায়। আর অধিকরণ কারকের মাঝেই ক্রিয়া সম্পাদিত হয়।
যেমন- ‘তিলে থেকে তেল হয়’ আর ‘তিলে তেল আছে’।
প্রথম বাক্যে তিলের ভেতর ক্রিয়া সংঘটিত হয়নি।
বরং তিল থেকে তেল বের হওয়ার কথা বোঝাচ্ছে।
আর দ্বিতীয় বাক্যে তিলের ভেতরই তিল থাকার
কথা বলছে। এই ‘আছে’ ক্রিয়াটি তিলের ভেতরে থেকেই কাজ করছে।
এরকম-
(১) বিপদ থেকে বাঁচাও- অপাদান কারক
(২) বিপদে বাঁচাও- অধিকরণ কারক
(৩) শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে- অপাদান কারক
(৪) শুক্তিতে মুক্তি হয়- অধিকরণ কারক
(৫) জমি থেকে ফসল পাই- অপাদান কারক
(৬) জমিতে ফসল হয়- অধিকরণ কারক
এভাবে না বুঝলে আরেকটু সহজ উপায়
(১) কে?
/ কীসে + ক্রিয়া = কর্তৃকারক। ইহাকে বাক্যের প্রধান কর্তা বলে। যেমনঃ
ঘোড়ায়
( কে?) গাড়ি টানে।
পাখি
(কীসে?) সব, করে রব।
(২) কী? / কাকে? + ক্রিয়া = কর্মকারক। কর্তার
কাজ বোঝাবে। যেমনঃ
অর্থ- অনর্থ (কী?) ঘটায়?
ডাক্তারকে
( কাকে?) ডাক।
(৩) (কী / কীসের ) দ্বারা? + ক্রিয়া = করণ কারক।
যন্ত্র/সহায়/উপায় বা মাধ্যম বোঝাবে। যেমনঃ
ছেলেরা
ফুটবল ( কী দ্বারা?) খেলছে।
টাকায়
(কীসের দ্বারা?) বাঘের দুধ মেলে।
(৪) কাকে দান করা হল? = সম্প্রদান কারক। স্বত্ব
ত্যাগ বোঝাবে। যেমনঃ
শীতার্তকে (কাকে দান করা হল? ) বস্ত্র দাও।
সৎপাত্রে ( কীসে দান?) কন্যা দান করিও।
(৫) (কী/কীসের /কোথা) থেকে? + ক্রিয়া = অপদান
কারক। গৃহীত, উৎপন্ন, চলিত, পতিত ইত্যাদি বোঝাবে। যেমনঃ
স্কুল (কীসের থেকে?) পালিয়ে পণ্ডিত হওয়া
যায়না।
সরিষা থেকে ( কী থেকে?) তেল হয়।
(৬) কখন? /কোথায়? / কীভাবে?/ বিষয়ে? + ক্রিয়া
= অধিকরণ কারক। স্থান, কাল, বিষয়, ভাব বোঝাবে। যেমনঃ
ভোরবেলা ( কখন? ) সূর্য উঠে।
সে- বাড়ী ( কোথায়? ) নাই?
শুন্য বিভক্তিতে কারক সমূহ
➢পাগলে
কিনা বলে = কর্তৃ
➢গুনীজনে
কর ভক্তি =করণ
➢টাকায়
কিনা হয় = কর্ম
➢দ্বীনে
দয়া কর = সম্প্রদান
➢পথে
হল দেরি = অপাদান
➢তিলে
তৈল হয় =অধিকরণ
ছন্দে ছন্দে কারক
যে করে সে কর্তা ,
কর্তা যা করে তা কর্ম।
কর্তাকে সাহায্য করা করণের ধর্ম ,
শর্ত তাগ করে করিলে দান ,
তা কারক হবে সম্প্রদান।
হতে, থেকে , চেয়ে অপাদান হয়,
স্থান , কাল, পাত্র অধিকরণ কারক কয়।
আরো একটু সহজ পদ্ধতি
প্রশ্ন করো কে বা কারা
কর্তা তোমায় দিবে সাড়া।।
প্রশ্ন করো কি বা কাকে
পাবে তখন কর্মটাকে।।
প্রশ্ন করো দ্বারা , দিয়া
করণ তোমার হবে প্রিয়া।।
প্রশ্ন করো শুধু কাকে,
পাবে তখন সম্প্রদানটাকে।।
প্রশ্ন করো হতে, থেকে
আটকে ধরো অপাদানটাকে।।
প্রশ্ন করো কোথায়, কখন
তখন পাবে অধিকরণ।
এক বাক্যেই ছয়টি কারক নির্ণয়ের কৌশল শিখুন
মীম প্রতি উৎসবে জমানো টাকা থেকে নিজ হাতে
ইকরামকে পান্জাবি/চকলেট দেয়।
(১) মীম--কর্তৃকারক; আমরা জানি, বাক্যে যে ক্রিয়ার
কাজ সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। উল্লিখিত বাক্যটিতে ক্রিয়ার সাথে সম্পর্ক হচ্ছে
মীমের; অর্থাৎ, ক্রিয়াকে কে বা কারা দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে কর্তৃকারক
বলে। "কে" প্রতি উৎসবে জমানো টাকা থেকে নিজ হাতে ইকরামকে পান্জাবি/চকলেট
দেয়? উত্তর--মীম; তাহলে, মীম এখানে, কর্তৃকারক।
(২) পান্জাবি/চকলেট- কর্ম কারক; আমরা জানি, বাক্যে
ক্রিয়া পদকে কী বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে কর্মকারক বলে।
উল্লিখিত বাক্যটিতে মীম প্রতি উৎসবে জমানো টাকা থেকে নিজ হাতে ইকরামকে কি দেয়?
উত্তর- পান্জাবি/চকলেট; তাহলে, পান্জাবি/চকলেট
এখানে, কর্মকারক।
(৩) হাতে- করণ কারক; আমরা জানি, বাক্যে ক্রিয়া
পদকে কীসের দ্বারা বা কী উপায়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে করণ কারক বলে।
উল্লিখিত বাক্যটিতে মীম প্রতি উৎসবে জমানো
টাকা থেকে কিসের দ্বারা ইকরামকে পান্জাবি/চকলেট দেয়?
উত্তর- নিজ হাতে; তাহলে, হাত এখানে, করণ কারক।
(৪) ইকরামকে- সম্পাদন কারক; আমরা জানি, যাকে কোনো
কিছু দান, স্বত্ব ত্যাগ ইত্যাদি করা হয়, তাকে সম্পাদন কারক বলে।
উল্লিখিত বাক্যটিতে মীম, ইকরামকে পান্জাবি/চকলেট
পুরোপুরি স্বত্ব ত্যাগ করে দিচ্ছে, তাই ইকরাম সম্পাদন কারক।
(৫) জমানো টাকা থেকে- অপাদান; আমরা জানি, বাক্যে
ক্রিয়া পদকে কোথায় হতে/থেকে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে অপাদান কারক বলে।
উল্লিখিত বাক্যটিকে প্রশ্ন করলে- মীম প্রতি
উৎসবে কোথায় হতে ইকরামকে পান্জাবি/চকলেট দেয়? উত্তর- জমানো টাকা থেকে- এখানে, জমানো
টাকা- অপাদান কারক।
(৬) প্রতি উৎসবে- অধিকরণ কারক; আমরা জানি, ক্রিয়া
সম্পাদনের সময়কে অধিকরণ কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যে ক্রিয়া পদকে কোথায়, কখন, কিসে দ্বারা
প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে অধিকরণ কারক বলে।
উল্লিখিত বাক্যটিকে প্রশ্ন করলে- মীম কখন জমানো
টাকা থেকে ইকরামকে পান্জাবি/চকলেট দেয়?
উত্তর- প্রতি উৎসবে; অর্থাৎ, প্রতি উৎসব- অধিকরণ
কারক।
বিভক্তি
বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের
অন্বয় সাধনের জন্য যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। বিভক্তিগুলো ক্রিয়াপদের
সাথে নামপদের সম্পর্ক স্থাপন করে।
যেমন: ছাদে বসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন।
বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ + এ বিভক্তি), মা (মা
+ ০ বিভক্তি), শিশুকে (শিশু + কে বিভক্তি), চাঁদ (চাঁদ + ০ বিভক্তি) ইত্যাদি পদে বিভিন্ন
বিভক্তি যুক্ত হয়েছে।
বিভক্তি দুই প্রকার। যথাঃ-
(১) শব্দ বিভক্তি বা নাম বিভক্তি ও
(২) ক্রিয়া বিভক্তি।
বাংলা শব্দ-বিভক্তি
০ (শূণ্য) বিভক্তি (অথবা অ-বিভক্তি), এ (য়),
তে (এ), কে, রে, র (এরা) - এ কয়টিই খাঁটি বাংলা শব্দ বিভক্তি। এছাড়া বিভক্তি স্থানীয়
কয়েকটি অব্যয় শব্দও কারক-সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন -
দ্বারা, দিয়ে, হতে, থেকে ইত্যাদি।
বাংলা শব্দ বিভক্তি বা নাম বিভক্তি কারক নির্দেশ
করে বলে এগুলোকে কারক বিভক্তিও বলা হয়।
বাংলা শব্দ-বিভক্তি সাত প্রকারঃ
বিভক্তি
|
একবচন
|
বহুবচন
|
প্রথমা
|
০, অ, এ (য়), তে, এতে।
|
রা, এরা, গুলি (গুলো), গণ।
|
দ্বিতীয়া
|
০, অ, কে, রে (এরে), এ, য়, তে।
|
দিগে, দিগকে, দিগেরে, *দের।
|
তৃতীয়া
|
০, অ, এ, তে, দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক।
|
দিগের দিয়া, দের দিয়া, দিগকে দ্বারা, দিগ কর্তৃক, গুলির দ্বারা,
গুলিকে দিয়ে, *গুলো দিয়ে, গুলি কর্তৃক, *দের দিয়ে।
|
চতুর্থী
|
দ্বিতীয়ার মতো
|
দ্বিতীয়ার মতো
|
পঞ্চমী
|
এ (য়ে, য়), হইতে, *থেকে, *চেয়ে, *হতে।
|
দিগ হইতে, দের হইতে, দিগের চেয়ে, গুলি হইতে, গুলির চেয়ে, *দের হতে,
*দের থেকে, *দের চেয়ে।
|
ষষ্ঠী
|
র, এর।
|
*দিগের, দের, গুলির, গণের, গুলোর
|
সপ্তমী
|
এ (য়), তে, এতে।
|
দিগে, দিগেতে, গুলিতে, গণে, গুলির মধ্যে, গুলোতে, গুলোর মধ্যে।
|
তারকা চিহ্নিত বিভক্তিগুলো এবং বন্ধনীতে লিখিত
শব্দ চলিত ভাষায় ব্যবহৃত হয়।
বিভক্তি চিহ্ন স্পষ্ট না হলে সেখানে শূণ্য
বিভক্তি আছে বলে মনে করতে হবে।
বিভক্তি যোগের নিয়ম
(ক) অপ্রাণী
বা ইতর প্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে 'রা' যুক্ত হয় না; গুলি, গুলো যুক্ত হয়। যেমন-
পাথরগুলো, গরুগুলি।
(খ) অপ্রাণীবাচক
শব্দের উত্তরে 'কে' বা 'রে' বিভক্তি যুক্ত হয় না; শূণ্য বিভক্তি হয়। যেমন- কলম দাও।
(গ)
স্বরান্ত শব্দের উত্তর 'এ' বিভক্তির রূপ হয় 'য়' বা 'য়ে'। 'এ' স্থানে 'তে' বিভক্তিও
যুক্ত হতে পারে। যেমন- মা + এ = মায়ে, ঘোড়া + এ = ঘোড়ায়, পানি + তে = পানিতে।
(ঘ) অ-কারান্ত
ও ব্যঞ্জনান্ত শব্দের উত্তর প্রায়ই 'রা' স্থানে 'এরা' হয় এবং ষষ্ঠী বিভক্তির 'র'
স্থলে 'এর' যুক্ত হয়। যেমন- লোক + রা = লোকেরা, বিদ্বান (ব্যঞ্জনান্ত) + রা = বিদ্বানেরা,
মানুষ + এর = মানুষের। কিন্তু অ-কারান্ত, আ-কারান্ত এবং এ-কারান্ত খাঁটি বাংলা শব্দের
ষষ্ঠীর একবচনে সাধারণত 'র' যুক্ত হয়, 'এর' যুক্ত হয় না। যেমন- বড়র, মামার, ছেলের।
বিভিন্ন কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার
সকল কারকে প্রথমা বা শূণ্য বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
রহিম বাড়ি যায়। |
|
(খ) |
ডাক্তার ডাক। |
|
অর্থ অনর্থ ঘটায়। |
||
(গ) |
ঘোড়াকে চাবুক মার। |
|
(ঘ) |
গুরুদক্ষিণা দাও। |
|
ভিক্ষা দাও দেখিলে ভিক্ষুক। |
||
(ঙ) |
গাড়ি স্টেশন ছাড়ে। |
|
(চ) |
সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। |
|
আকাশ মেঘে ঢাকা। |
সকল কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
বশিরকে যেতে হবে। |
|
(খ) |
তাকে বল। |
|
তাকে আমি চিনি। |
||
ধোপাকে কাপড় দাও। |
||
'আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর
প্রার্থনা।' |
||
(গ) |
||
(ঘ) |
(সম্প্রদান কারকে চতুর্থী
বিভক্তি হয়।) |
|
(ঙ) |
বাবাকে বড্ড ভয় পাই। |
|
(চ) |
'মন আমার নাচে রে আজিকে।' |
সকল কারকে তৃতীয়া বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
||
(খ) |
||
(গ) |
লাঙল দ্বারা জমি চাষ করা হয়। |
|
মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জন। |
||
আমরা কান দ্বারা শুনি। |
||
(ঘ) |
||
(ঙ) |
তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। |
|
(চ) |
খিলিপান (এর ভিতর) দিয়ে ওষুধ খাবে। |
সকল কারকে চতুর্থী বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
(ব্যবহার নেই) |
|
(খ) |
(ব্যবহার নেই) |
|
(গ) |
(ব্যবহার নেই) |
|
(ঘ) |
ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। |
|
দরিদ্রকে দান কর। |
||
(ঙ) |
(ব্যবহার নেই) |
|
(চ) |
(ব্যবহার নেই) |
সকল কারকে পঞ্চমী বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
||
(খ) |
||
(গ) |
এ সন্তান হতে দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে। |
|
(ঘ) |
||
(ঙ) |
জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরছে। |
|
গাছ থেকে পাতা পড়ে। |
||
সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে। |
||
দুধ থেকে দই হয়। |
||
বিপদ থেকে বাঁচাও। |
||
সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু। |
||
(চ) |
বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। |
সকল কারকে ষষ্ঠী বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
আমার যাওয়া হয়নি। |
|
(খ) |
তোমার দেখা পেলাম না। |
|
দেশের সেবা কর। |
||
(গ) |
তার মাথায় লাঠির আঘাত কোরো না। |
|
ইট-পাথরের বাড়ি শক্ত। |
||
ইটের বাড়ি সহজে ভাঙে
না। |
||
(ঘ) |
ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দাও। |
|
(ঙ) |
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যে হয়। |
|
(চ) |
সকল কারকে সপ্তমী বা “এ” বিভক্তির ব্যবহার
(ক) |
লোকে বলে। |
|
পাগলে কী না বলে। |
||
(খ) |
এ অধীনে দায়িত্ব অর্পণ করুন। |
|
কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে। |
||
(গ) |
এ কলমে লেখা ভালো হয়। |
|
হাতে না মেরে ভাতে মারো। |
||
(ঘ) |
খোদার এ জীবে আহার দিবে কে? |
|
দীনে দয়া কর। |
||
(ঙ) |
'আমি কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে?' |
|
মেঘে বৃষ্টি হয়। |
||
(চ) |
এ দেহে প্রাণ নেই। |
|
তিলে আছে তেল, কুসুমে সৌরভ। |
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য
১.
বাক্যে ক্রিয়ার সঙ্গে কোন্ পদের সম্পর্ককে কারক বলে?
●
বিশেষ্য ও সর্বনাম
খ.
বিশেষ্য ও বিশেষণ
গ.
বিশেষ্য ও অনুসর্গ
ঘ.
বিশেষণ ও আবেগ
২.
ক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই, তেমন কারকের নাম কী?
●
সম্বন্ধ
খ.
অপাদান
গ.
অধিকরণ
ঘ.
কর্তা
৩.
বাংলা ভাষায় কারকের সংখ্যা কয়টি?
ক.
চার
●
ছয়
গ.
সাত
ঘ.
আট
৪.
‘আমরা নদীর ঘাট থেকে রিকশা নিয়েছিলাম’- বাক্যটিতে আমরা কোন কারক?
●
কর্তা
খ.
কর্ম
গ.
করণ
ঘ.
অপাদান
৫.
যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কোন কারক বলে?
ক.
কর্তা
●
কর্ম
গ.
করণ
ঘ.
অপাদান
৬.
‘শিক্ষককে জানাও’ — এই বাক্যে ‘শিক্ষককে’ কোন কারক?
ক.
কর্তা
●
কর্ম
গ.
করণ
ঘ.
অপাদান
৭.
‘ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়’— এই বাক্যে ‘ভেড়া দিয়ে’ কোন কারক?
ক.
কর্তা
খ.
কর্ম
●
করণ
ঘ.
অপাদান
৮.
‘জমি থেকে ফসল পাই’- বাক্যটিতে ‘জমি থেকে’ কোন কারক?
ক.
কর্তা
খ.
কর্ম
গ.
করণ
●
অপাদান
৯.
কোন কারকে মূলত ক্রিয়ার স্থান, সময় ইত্যাদি বোঝায়?
ক.
কর্তা
●
অধিকরণ
গ.
করণ
ঘ.
অপাদান
১০.
‘গাছের ফল পেকেছে’— এখানে কোন বিভক্তির প্রয়োগ হয়েছে?
ক.
-র
●
-এর
গ.
-য়ের
ঘ.
–এ
১১.
ক্রিয়ার সঙ্গে বাক্যের বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ককে কী বলে?
ক.
পদ
●
কারক
গ.
সমাস
ঘ.
অনুসর্গ
১২.
কারক সম্পর্ক বোঝাতে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে যুক্ত হয়—
ক.
উপসর্গ ও বিভক্তি
খ.
উপসর্গ ও অনুসর্গ
গ.
পদ ও অনুসর্গ
●
বিভক্তি ও অনুসর্গ
১৩.
কারক কত প্রকার?
ক.
আট
●
ছয়
গ.
চার
ঘ.
দুই
১৪.
ক্রিয়া যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে কী বলে?
●
কর্তা কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
ঘ.
অপাদান কারক
১৫.
কর্তা কারকে ‘-এ’ বিভক্তির উদাহরণ কোনটি?
●
পাগলে কিনা বলে।
খ.
শিক্ষককে জানাও।
গ.
ভেড়া দিয়ে চাষ করা সম্ভব নয়।
ঘ.
রাজীব বাংলা ব্যাকরণে ভালো।
১৬.
বাক্যের কর্তা বা উদ্দেশ্যই কী?
●
কর্তা কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
ঘ.
অপাদান কারক
১৭.
কোন কারকে সাধারণত বিভক্তি যুক্ত হয় না?
●
কর্তা কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
ঘ.
অপাদান কারক
১৮.
কাব্যভাষায় কর্মকারকে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
ক.
-কে
●
-রে
গ.
-র
ঘ.
-ই
১৯.
বাক্যের কর্ম কত প্রকার?
ক.
আট
খ.
ছয়
গ.
চার
●
দুই
২০.
যার দ্বারা বা যে উপায়ে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে কী বলে?
ক.
কর্তা কারক
খ.
করণ কারক
●
কর্ম কারক
ঘ.
অপাদান কারক
২১.
সাধারণত কোন কর্ম কারকে বিভক্তি হয় না?
ক.
গৌণ কর্ম
●
মুখ্য কর্ম
গ.
ক ও খ
ঘ.
কোনটাই না
২২.
গৌণ কর্ম কারকে কোন বিভক্তি হয়?
●
-কে
খ.
-রে
গ.
-র
ঘ.
-ই
২৩.
কোন কারকে দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক ইত্যাদি অনুসর্গ যুক্ত হয়?
ক.
কর্তা কারক
●
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
ঘ.
অপাদান কারক
২৪.
অপাদান কারকে ক্রিয়ার কী নির্দেশ করা হয়?
ক.
অবস্থা
খ.
অবস্থান
●
উৎস
ঘ.
অর্থ
২৫.
কোন কারকে সাধারণত হতে, থেকে, চেয়ে ইত্যাদি অনুসর্গ শব্দের পরে বসে?
ক.
কর্তা কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
●
অপাদান কারক
২৬.
অপাদান কারকের উদাহরণ কোনটি?
ক.
ফলের গন্ধে ঘুম আসে না।
খ.
বাবা বাড়িতে আছেন।
●
কাপটা উঁচু টেবিল থেকে পড়ে গেল।
ঘ.
অসহায়কে সাহায্য করো।
২৭.
কোন কারকে সাধারণত ‘-এ’, ‘-য়’, ‘-য়ে’, ‘-তে’ ইত্যাদি বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত
হয়?
ক.
কর্তা কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
●
অধিকরণ কারক
২৮.
‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।’- এখানে ফুলের পদটি কোন কারক?
●
সম্বন্ধ কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
ঘ.
অধিকরণ কারক
২৯.
সম্বন্ধ কারকে যে বিভক্তি যুক্ত হয়-
ক.
‘র’, ‘-এর’
খ.
‘কার’, ‘কের’
গ.
‘-য়ের’
●
সবগুলো
৩০.
যে কারকে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশিত হয়, তাকে
কী বলে?
●
সম্বন্ধ কারক
খ.
করণ কারক
গ.
কর্ম কারক
ঘ.
অধিকরণ কারক
৩১.
কোন বাক্যে প্রযোজক কর্তার ব্যবহার হয়েছে?
ক.
শিক্ষক ছাত্রদের ব্যাকরণ পড়াচ্ছেন
খ.
ছেলেরা ফুটবল খেলছে
●
রাখাল গরুকে ঘাস খাওয়ায়
ঘ.
বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়
৩২.
বাক্যের বাচ্য বা প্রকাশভঙ্গি অনুসারে কর্তা কয় রকম হতে পারে?
ক.
আট
খ.
ছয়
গ.
চার
●
তিন
৩৩.
কোন বাক্যে কর্তায় এ বিভক্তির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে?
●
পাগলে কী না বলে।
খ.
বনে বাঘ আছে।
গ.
ফুলে ফুলে বাগান ভরেছে।
ঘ.
অন্ধজনে দেহ আলো।
৩৪.
কোন বাক্যটিতে কর্মকারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ রয়েছে?
ক.
আমার যাওয়া হলো না।
●
ডাক্তার ডাক।
গ.
আমি ঢাকা যাচ্ছি।
ঘ.
তারা বল খেলে।
৩৫.
‘জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়’ – এখানে ‘সাধনায়’ কোন কারকের উদাহরণ?
ক.
কর্ম
খ.
অধিকরণ
●
করণ
ঘ.
কারণ
৩৬.
‘খেজুর রসে গুড় হয়’ — কী বোঝাতে অপাদান কারক হয়েছে?
●
জাত
খ.
উৎপন্ন
গ.
গৃহীত
ঘ.
বিচ্যুত
৩৭.
‘বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়।’ এ বাক্যে কোন জাতীয় কর্তা উল্লেখ করা হয়েছে?
●
ব্যতিহার কর্তা
খ.
মুখ্য কর্তা
গ.
প্রযোজক কর্তা
ঘ.
প্রযোজ্য কর্তা
৩৮.
ভাবাধিকরণে সবসময় কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
বা,
ভাবাধিকরণ কারকে কোন বিভক্তির প্রয়োগ করা হয়?
ক.
৫মী
●
৭মী
গ.
৬ষ্ঠী
ঘ.
সবগুলো
৩৯.
‘কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়’ – ‘কান্নায়’ কোন কারক ও কোন বিভক্তি?
ক.
অপাদান কারক
খ.
কালাধিকরণ
গ.
আধারাধিকরণ
●
ভাবাধিকরণে ৭মী
৪০.
‘সারারাত বৃষ্টি হয়েছে’—এখানে ‘সারারাত’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
ক.
কর্মে শূন্য
খ.
কর্তীয় শূন্য
●
অধিকরণে শূন্য
ঘ.
অপাদানে শূন্য
৪১.
‘বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়।’- বাক্যে ‘বাড়ি’ কোন কারক?
ক.
অপাদান
খ.
কর্ম
●
অধিকরণ
ঘ.
করণ
৪২.
বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈশিষ্ট্যানুসারে কর্তৃকারকের কর্তা কত প্রকার?
ক.
আট
খ.
ছয়
●
চার
ঘ.
তিন
৪৩.
মূল কর্তার করণীয় কাজ যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয় তাকে কী বলে?
ক.
প্রযোজক কর্তা
●
প্রযোজ্য কর্তা
গ.
মুখ্য কর্তা
ঘ.
ব্যতিহার কর্তা
৪৪.
‘ঘোড়ায় গাড়ি টানে’- এ বাক্যে ‘ঘোড়ায়’ কোন কারকে কোন বিভক্তি হবে?
ক.
কর্তৃকারকে প্রথমা
●
কর্তৃকারকে সপ্তমী
গ.
কর্মকারকে স
ঘ.
করণকারকে সপ্তমী
৪৫.
যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কোন কারক বলে?
●
কর্মকারক
খ.
সম্প্রদান কারক
গ.
করণ কারক
ঘ.
কর্তৃকারক
৪৬.
দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মপদটিকে বলে-
●
মুখ্য কর্ম
খ.
সমধাতুজ কর্ম
গ.
গৌণ কর্ম
ঘ.
উদ্দেশ্য কর্ম
৪৭.
ব্যক্তিবাচক কর্মকে কী বলে?
ক.
মুখ্য কর্ম
খ.
সমধাতুজ কর্ম
●
গৌণ কর্ম
ঘ.
উদ্দেশ্য কর্ম
৪৮.
কোন বাক্যে বিধেয় কর্ম রয়েছে?
ক.
তাকে আমি চিনি
খ.
জিজ্ঞাসিব জনে জনে
●
দুধকে মোরা দুগ্ধ বলি
ঘ.
লাঙ্গল দ্বারা জমি চাষ হয়
৪৯.
‘ডাক্তার ডাক।’— ডাক্তার ডাক শব্দটি কোন কারক?
ক.
করণ
খ.
অধিকরণ
●
কর্ম
ঘ.
অপাদান
৫০.
‘জিজ্ঞাসিব জনে জনে’— এখানে ‘জনে জনে’ কোন কারক ও কোন বিভক্তি?
ক.
করণে ৭মী
খ.
অধিকরণে ৭মী
গ.
অপাদানে ৭মী
●
কর্মে ৭মী
গুরুত্বপূর্ণ
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ও উত্তর
১.
কারক (কৃ+ণক) শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর:
গ. যা ক্রিয়া সম্পাদন করে
২.
বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে নাম পদের যে সম্পর্ক তাকে কী বলে?
উত্তর:
গ. কারক
৩.
কারক নির্ণয় করার সহজ উপায় কী?
উত্তর:
ঘ. ক্রিয়াকে প্রশ্ন করা
৪.
বাক্যের প্রতিটি শব্দের সঙ্গে অন্বয় সাধনের জন্যে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদেরকে কী
বলে?
উত্তর:
গ. বিভক্তি
৫.
বিভক্তি চিহ্ন স্পষ্ট না হলে কোন্ বিভক্তি আছে বলে মনে করা হয়?
উত্তর:
ক. শূন্য
৬.
একবচন ও বহুবচনভেদে বিভক্তিগুলোর কী ধরনের পার্থক্য দেখা যায়?
উত্তর:
ঘ. আকৃতিগত
৭.
যষ্ঠী নাম বিভক্তির চিহ্ন কোনটি?
উত্তর:
খ. র, এর
৮.
বাক্যের ক্রিয়া সম্পাদনের বৈশিষ্ট্যানুসারে কর্তৃকারকের কর্তা কত প্রকার?
উত্তর:
গ. ৪ প্রকার
৯.
মূল কর্তার করণীয় কাজ যাকে দিয়ে সম্পাদিত হয় তাকে কী বলে?
উত্তর:
খ. প্রযোজ্য কর্তা
১০.
‘ঘোড়ার গাড়ি টানে‘- এ বাক্যে ‘ঘোড়ার’ কোন কারকে কোন বিভক্তি হবে?
উত্তর:
খ. কর্তৃকারকে সপ্তমী
১১.
‘গুণহীন চিরদিন থাকে পরাধীন‘- নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
ক. কর্তৃকারকে শূন্য
১২.
‘গরুতে দুধ দেয়’-‘গরুতে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. কর্তৃকারকে ৭মী
১৩.
যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কোন কারক বলে?
উত্তর:
ক. কর্মকারক
১৪.
দ্বিকর্মক ক্রিয়ার বস্তুবাচক কর্মপদটিকে বলে-
উত্তর:
ক. মুখ্য কর্ম
১৫.
ব্যক্তিবাচক কর্মকে কী বলে?
উত্তর:
গ. গৌণ কর্ম
১৬.
‘আমারে তুমি করিবে ত্রাণ’— এ বাক্যে ‘আমারে‘ পদটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. কর্মে ২য়া
১৭.
কোন বাক্যে বিধেয় কর্ম রয়েছে ?
উত্তর:
গ. দুধকে মোরা দুগ্ধ বলি
১৮.
‘ডাক্তার ডাক।‘— নিম্নরেখ শব্দটি কোন কারক?
উত্তর:
ক. কর্ম
১৯.
“জিজ্ঞাসিব জনে জনে‘— এখানে ‘জনে জনে‘ কোন কারক ও কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. কর্মে ৭মী
২০.
জিজ্ঞাসিব জনে জনে‘— নিম্নরেখ শব্দটি কোন অর্থে কর্মে ৭মী?
উত্তর:
ক. বীপ্সায়
২১.
‘এ অধীনে দায়িত্বভার অর্পণ করুন এখানে ‘অধীনে’ কোন কারক?
উত্তর:
খ. কর্ম কারক
২২.
‘করণ‘ শব্দটির অর্থ –
উত্তর:
গ. যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়
উত্তর:
গ. করণে ৭মী
২৪.
কোনটি করণ কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ?
উত্তর:
গ. পাখিকে ঢিল মারলে কেন
২৫.
‘জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়’এখানে ‘সাধনায়’ কোন কারকের উদাহরণ?
উত্তর:
খ. করণ
২৬.
‘ঘোড়াকে চাবুক মারো।‘- ‘চাবুক’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. করণে শূন্য
২৭.
করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ কোনটি?
উত্তর:
ঘ. দুঃখে যেন করতে পারি জয়
২৮.
কোন বাক্যটিতে করণ কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ আছে?
উত্তর:
গ. ছেলেরা মাঠে বল খেলে
২৯.
‘লাঙলে জমি চাষ করা হয়’ – এখানে ‘লাঙলে‘ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
গ. করণ কারকে ৭মী
৩০.
‘ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে‘- এ বাক্যে ‘ফুলে ফুলে‘ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. করণে ৭মী
৩১.
“শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।’ এখানে ‘গোঁফে‘ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
গ. করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
৩২.
করণ কারকে ৭মী বিভক্তি কোনটি?
উত্তর:
ঘ. টাকায় কিনা হয়
৩৩.
স্বত্ব ত্যাগপূর্বক দান করা হলে দানপাত্রকে কী বলে?
উত্তর:
গ. সম্প্রদান
৩৪.
‘মৃত জনে দেহ প্রাণ’ নিম্নরেখ পদটি কোন কারকের কোন বিভক্তি?
উত্তর:
ঘ. সম্প্রদান, সপ্তমী
৩৫.
‘অন্ধজনে দেহ আলো’— নিম্নরেখ পদটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
গ. সম্প্রদানে ৭মী
৩৬.
“সমিতিতে চাঁদা দাও।”— এখানে ‘চাঁদা’ কোন কারক?
উত্তর:
খ. সম্প্রদান কারক
৩৭.
কোন বাক্যটিতে নিমিত্তার্থে চতুর্থী বিভক্তির প্রয়োগ দেখানো হয়েছে?
উত্তর:
ঘ. বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল
৩৮.
‘লোকমুখে শুনেছি’– নিম্নরেখ শব্দটির কারক ও বিভক্তি কোনটি?
উত্তর:
ঘ. অপাদানে সপ্তমী
৩৯.
অপাদান কারকের সঠিক উদাহরণ কোনটি?
উত্তর:
গ. বোঁটা-আলগা ফল গাছে থাকে না
৪০.
‘মেঘে বৃষ্টি হয়।‘– ‘মেঘে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
গ. অপাদানে ৭মী
৪১.
“এক থালাতে খাব মোরা‘—বাক্যের রেখাঙ্কিত পদটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
ঘ. অপাদানে ৭মী
৪২.
‘জমি থেকে ফসল পাই’— বাক্যটিতে কোন অর্থে অপাদান কারক ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর:
ক. জাত
৪৩.
‘দুধ থেকে দই হয়’ –এখানে ‘দুধ থেকে’ কোন অর্থে অপাদান?
উত্তর:
ক. গৃহীত
৪৪.
অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ কোনটি?
উত্তর:
গ. পাপে বিরত হও
৪৫.
‘তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন‘ –এখানে চট্টগ্রাম কোন কারক?
উত্তর:
ঘ. অপাদান কারক
৪৬.
“মেঘে বৃষ্টিহয়।”—-মেঘে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. অপাদানে ৭মী
৪৭.
“তিলে তৈল হয়”—এখানে তিলে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
খ. অপাদানে ৭মী
৪৮.
কোনটি অপাদানে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ?
উত্তর:
খ. পরাজয়ে ডরে না বীর
৪৯.
‘বাবাকে বড্ড ভয় পাই‘- নিম্নরেখ শব্দটির কারক ও বিভক্তি কোনটি?
উত্তর:
খ. অপাদানে ২য়া
৫০.
‘খেজুর রসে গুড় হয়’ – কোন অর্থে অপাদান কারক হয়েছে?
উত্তর:
ক. জাত
৫১.
‘আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে‘-এখানে ‘রাঘবে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
ক. অপাদানে সপ্তমী
৫২.
অধিকরণ কারক কয় প্রকার?
উত্তর:
খ. তিন
৫৩.
সামীপ্য অর্থে কোনটি ঐকদেশিক অধিকরণের উদাহরণ?
উত্তর:
ঘ. রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা
৫৪.
‘পুকুরে মাছ আছে’– এখানে ‘পুকুরে’ কোন অধিকরণ কারক?
বা
‘বনে বাঘ আছে‘- ‘বনে‘ কোন কারক?
উত্তর:
ঘ. ঐকদেশিক অধিকরণ
৫৫.
‘রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা’—এখানে ‘দুয়ারে’ কোন অর্থে ঐকদেশিক অধিকরণ?
উত্তর:
ক. সামীপ্য
৫৬.
“বনে বাঘ আছে”—-‘বনে‘ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
গ. ঐকদেশিক অধিকরণ
৫৭.
“রাজার দুয়ারে হাতি বাধা”- এ বাক্যে ‘দুয়ারে’ শব্দটি কোন ধরনের অধিকরণ?
উত্তর:
খ. ঐকদেশীয় অধিকরণ
৫৮.
‘সোনার খাঁচায় রাখব তোমায়‘- ‘সোনার খাঁচায়’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
ঘ. অধিকরণে সপ্তমী
৫৯.
ভাবে সপ্তমীর উদাহরণ কোনটি?
উত্তর:
গ. চন্দ্রোদয়ে কুমুদিনী বিকশিত হয়
৬০.
‘ব্যাপ্তি’ অর্থে সম্বন্ধ পদ কোনটি?
উত্তর:
ঘ. রোজার ছুটি
৬১.
রাজার হুকুম– এটি কোন ধরনের সম্বন্ধ?
উত্তর:
ক. কর্তৃ সম্বন্ধ
৬২.
সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ কারক নহে, কারণ–
উত্তর:
খ. ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না
৬৩.
কোনটিতে উপাদান সম্বন্ধ বিদ্যমান?
উত্তর:
গ. রুপার থালা
৬৪.
অপাদান সম্বন্ধ কোনটি?
উত্তর:
ঘ. সাপের ভয়
৬৫.
উপাদান সম্বন্ধ কোনটি?
উত্তর:
খ. সোনার বাটি
৬৬.
কোনটি কৃতি সম্বন্ধ?
উত্তর:
খ. নজরুলের ‘অগ্নিবীণা’
৬৭.
স্বরান্ত শব্দের উত্তরে ‘এ’ বিভক্তির রূপ হয়—
উত্তর:
খ. য়
৬৮.
কর্মকারকে কোন বিভক্তির ব্যবহার নেই?
উত্তর:
গ. চতুর্থী
৬৯.
‘জাত’–অর্থে অপাদান কারক কোনটি?
উত্তর:
খ. জমি থেকে ফসল পাই
৭০.
‘বোঁটা আলগা ফল গাছে থাকে না।’- এখানে ‘বোঁটা আলগা’ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
গ. অপাদানে প্রথমা
৭১.
‘তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে‘- কোন কারকে কোন বিভক্তি?
উত্তর:
ক. অধিকরণে শূন্য
৭২.
বাংলায় কারকের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বিভক্তি না থাকলেও একটি কারকে বিদ্যমান, সেটি কী?
উত্তর:
খ. সম্প্রদানে
৭৩.
গুণ ও দক্ষতা বোঝাতে কোন অধিকরণ কারক হয়?
উত্তর:
গ. ঐকদেশিক
৭৪.
বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে‘- কোন কারকের ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর:
গ. অপাদান কারক
৭৫.
নিম্নরেখ পদগুলোর কোনটি অধিকরণ কারকে তৃতীয় বিভক্তির উদাহরণ?
উত্তর:
ঘ. সারারাত বৃষ্টি হয়েছে
৭৬.
‘আমাদের সেনার সাহস দুর্জয়, যুদ্ধে অপরাজেয়‘- এখানে ‘যুদ্ধে’ কোন অধিকরণ কারকের উদাহরণ?
উত্তর:
ক. ঐকদেশিক
৭৭.
কোনটি আধার–আধেয় সম্বন্ধ পদ?
উত্তর:
গ. রোগের কষ্ট
৭৮.
‘লোহার শরীর’- কোন অর্থে সম্বন্ধ পদ?
উত্তর:
গ. উপমান-উপমেয়
৭৯.
‘দুঃখের দহন‘- কোন প্রকার সম্বন্ধ পদ?
উত্তর:
গ. অভেদ সম্বন্ধ
৮০.
‘জ্ঞানের আলোক‘- এখানে সব পদটি কোন প্রকার?
উত্তর:
গ. অভেদ সম্বন্ধ
৮১.
কোনটি অভেদ সব নির্দেশ করে?
উত্তর:
খ. জ্ঞানের আলোক
৮২.
সম্বন্ধ পদে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
উত্তর:
ক. ষষ্ঠী
৮৩.
সম্বন্ধপদে কোন বিভক্তি যুক্ত হয়ে থাকে?
উত্তর:
গ. ‘র’ বা ‘এর’
৮৪.
‘আকাশে চাঁদ উঠেছে‘- ‘আকাশে’ কোন অধিকরণ?
উত্তর:
গ. ঐকদেশিক
কারক ও বিভক্তি থেকে বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষায় আসা গুরত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরঃ
বাক্যের
ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কি বলে?
1. বিভক্তি
2. কারক
3. প্রত্যয়
উত্তর:
কারক
দ্বারা
, দিয়া , কর্তৃক- বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী কোন বিভক্তি?
1. তৃতীয়া বিভক্তি
2. প্রথমা বিভক্তি
3. দ্বিতীয়া বিভক্তি
উত্তর:
তৃতীয়া বিভক্তি
কোনটি
অপাদান কারক?
1. গৃহহীনে গৃহ দাও
2. ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে
3. বনে বাগ আছে
উত্তর:
ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে
সর্বাঙ্গে
ব্যথা , ঔষধ দিব কোথা। এখানে ঔষধ শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মকারকে শূন্য
2. সম্প্রদানে সপ্তমি
3. অধিকরণে শূন্য
উত্তর:
কর্মকারকে শূন্য
আকাশে
তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস- এই বাক্যে “আকাশে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মকারকে সপ্তমী
2. অধিকরণ কারকে সপ্তমী
3. কর্তৃকারকে সপ্তমী
উত্তর:
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
কোনটি
করণ কারকে শূন্য বিভক্তির উদাহরণ?
1. ঘোড়াকে চাবুক মার
2. ডাক্তার ডাক
3. মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে
উত্তর:
ঘোড়াকে চাবুক মার
তিলে
তৈল হয়- কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অধিকরণ কারকে সপ্তমী
2. করণকারকে সপ্তমী
3. অপাদান কারকে ৭মী
উত্তর:
অপাদান কারকে ৭মী
শিশুগণ
দেয় মন নিজ নিজ পাঠে- এখানে পাঠে শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মে সপ্তমী
2. অধিকরণে সপ্তমি
3. অপাদানে সপ্তমী
উত্তর:
অধিকরণে সপ্তমি
টাকায়
টাকা আনে- এখানে টাকায় কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মকারকে সপ্তমী
2. কর্তৃকারকে ৭মী
3. করণে সপ্তমী
উত্তর:
কর্তৃকারকে ৭মী
নৌকায়
নদী পার হলাম- নৌকায় কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মে ৭মী
2. করণে ৭মী
3. অধিকরণে ৭মী
উত্তর:
করণে ৭মী
আজকে
নগদ কালকে ধার- এখানে আজকে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অধিকরণে ২য়া
2. কর্মে ৭মী
3. করণে ৭মী
উত্তর:
অধিকরণে ২য়া
ইট
পাথরের দালান- এখানে ইট পাথরে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. করণে ৭মী
2. করণে ৬ষ্ঠ
3. করণে ৬ষ্ঠী
উত্তর:
করণে ৬ষ্ঠী
আকাশে
চাদঁ উঠেছে – এখানে আকাশে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অধিকরণে ৭মী
2. কর্মে শূন্য
3. করণে ৬ষ্ঠী
উত্তর:
অধিকরণে ৭মী
সব
ঝিনুকে মুক্তা মিলে না- এখানে ঝিনুকে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অপাদানে ৭মী
2. অধিকরণে ৭মী
3. কর্মে ২য়া
উত্তর:
অপাদানে ৭মী
বাড়ি
থেকে নদী দেখা যায়- বাড়ি থেকে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অধিকরণে ৫মী
2. অধিকরণে ২য়া
3. অধিকরণে শূন্য
উত্তর:
অধিকরণে ৫মী
ডাক্তার
ডাক- ডাক্তার শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মকারকে শূন্য
2. অপাদানে ৩য়া
3. কর্মকারকে ৭মী
উত্তর:
কর্মকারকে শূন্য
দেশের
জন্য সেবা কর- দেশের কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী
2. কর্মে ২য়া
3. করণে ৩য়া
উত্তর:
সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী
বুলবুলিতে
ধান খেয়েছে- এখানে বুলবুলিতে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অপাদানে ৭মী
2. অধিকরণে ৭মী
3. কর্তৃকারকে ৭মী
উত্তর:
কর্তৃকারকে ৭মী
বাক্যস্থিত
ক্রিয়াপদের সাথে কোন পদের সম্পর্ককে কারক বলে?
1. অব্যয় পদের
2. নাম পদের
3. বিশেষণ পদের
উত্তর:
নাম পদের
অধিকরণ
কারকের উদাহরণ কোনটি?
1. তিলে তৈল আছে
2. দুধ থেকে ঘি হয়
3. তিল থেকে তেল হয়
উত্তর:
তিলে ত
তোমার
গায়ে নখের আঁচড়ও লাগবে না- এখানে নখের কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. করণে ৬ষ্ঠী
2. করণে ৫মী
3. কর্মে ৫মী
উত্তর:
করণে ৬ষ্ঠী
কলসটি
কানায় কানায় পূর্ণ- এটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. ভাবাধিকরণে ৭মী
2. অপাদানে ৫মী
3. কালাধিকরণে ৭মী
উত্তর:
ভাবাধিকরণে ৭মী
গুনহীনে
ত্যাগ কর- এখানে গুনহীনে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মে ৭মী
2. অধিকরণে ৭মী
3. অপাদানে ৭মী
উত্তর:
কর্মে ৭মী
এমন
ছেলে আর দেখিনি- ছেলে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অপাদানে শূন্য
2. কর্মে শূন্য
3. করণে শূন্য
উত্তর:
কর্মে শূন্য
বজ্রে
তোমার বাঁশি বাজে? এটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্তায় শূন্য
2. অপাদানে ৭মী
3. করণে ১মা
উত্তর:
অপাদানে ৭মী
কান্নায়
শোক কমে- বাক্যে কান্নায় কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. করণ কারক
2. কর্ম কারক
3. অধিকরণ কারক
উত্তর:
অধিকরণ কারক
তিনি
ব্যাকরণে পন্ডিত- ব্যাকরণ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অধিকরণে ৭মী
2. করণে ৭মী
3. কর্মে ৭মী
উত্তর:
অধিকরণে ৭মী
জগতে
কীর্তিমান হও সাধনায়- এখানে সাধনায় কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. করণে ৭মী
2. কর্মে ২য়া
3. অপাদানে শূন্য
উত্তর:
করণে ৭মী
কালির
দাগ দাও- এখানে কালির কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. করণে ৬ষ্ঠী
2. কর্মে ২য়া
3. অপাদানে শূন্য
উত্তর:
করণে ৬ষ্ঠী
বাক্যস্থিত
ক্রিয়াপদের সাথে কোন পদের সম্পর্ককে কারক বলে?
1. অব্যয় পদের
2. নাম পদের
3. বিশেষণ পদের
উত্তর:
নাম পদের
অধিকরণ
কারকের উদাহরণ কোনটি?
1. তিলে তৈল আছে
2. দুধ থেকে ঘি হয়
3. তিল থেকে তেল হয়
উত্তর:
তিলে তৈল আছে
বাক্যের
প্রতিটি শব্দের সাথে অন্বয় সাধনের জন্য যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের কি বলে?
1. কারক
2. বিভক্তি
3. সমাস
উত্তর:
বিভক্তি
কোনটি
করণ কারকে ৭মী বিভক্তির উদাহরণ?
1. টাকায় কিনা হয়
2. বালকেরা ফুটবল খেলে
3. তাস খেলা ভালো নয়
উত্তর:
টাকায় কি না হয়
আমাকে
যেতে হবে- এই বাক্যে আমাকে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মে দ্বিতীয়া
2. করণে দ্বিতীয়া
3. অপাদানে দ্বিতীয়া
উত্তর:
কর্মে ২য়া
সাদা
মেঘে বৃষ্টি হয় না- এখানে মেঘে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্ম কারক
2. অপাদান কারক
3. অধিকরণ কারক
উত্তর:
অপাদান কারক
মাঠে
ধান ফলছে- মাঠে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কালাধিকরণ
2. স্থানাধিকরণ
3. ভাবাধিকরণ
উত্তর:
স্থানাধিকরণ
কারক
শব্দটির অর্থ কি?
1. যা ক্রিয়া সম্পাদন করে
2. যা পদকে সম্পাদন করে
3. যা সমাস সম্পাদন করে
উত্তর:
যা ক্রিয়া সম্পাদন করে
সকলকে
মরতে হবে- এখানে সকলকে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. কর্মকারকে দ্বিতীয়া
2. অধিকরণে দ্বিতীয়া
3. অপাদানে দ্বিতীয়া
উত্তর:
কর্মকারকে ২য়া
কান্নায়
শোক কমে- এখানে কান্নায় কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. অধিকরণ কারক
2. অপাদান কারক
3. করণ কারক
উত্তর:
অধিকরণ কারক
পলাতক
দাসে দাও স্বাধীনতা- এখানে দাসে কোন কারকে কোন বিভক্তি?
1. করণে ৭মী
2. কর্মে ৭মী
3. সম্প্রদানে ৭মী
উত্তর:
সম্প্রদানে ৭মী
কর্তা
যা দ্বারা ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে কি বলে?
1. করণ কারক
2. কর্ম কারক
3. অধিকরণ কারক
উত্তর:
করণ কারক
যোগরূঢ় শব্দ মনে রাখার নিয়মঃ
রাজপুত পঙ্কজ মহাযাত্রা করে জলধির কাছে গেলো।
.এখানে রাজপুত, পঙ্কজ , মহাযাত্রা , জলধি যোগরূঢ়
শব্দ।
.রুঢ়ী শব্দ মনে রাখুনঃ
"তেলে ভাজা সন্দেশ খেয়ে এক প্রবীণ গবেষণা
করে পাঞ্জাবি পরে হস্তীর পীঠে চড়ে বাঁশী বাজায় "
এখানে,
তৈল ,
সন্দেশ, প্রবীণ, গবেষণা ,
পাঞ্জাবি , হস্তী , বাঁশী রুঢ়ী শব্দ
যৌগিক শব্দ মনে রাখুন এভাবেঃ
নায়ক ও গায়ক নয়ন ও শয়ন কর্তব্যে অবহেলা করে
বাঁদরামি করে ।
নায়ক গায়ক নয়ন ও শয়ন কর্তব্যে
বাঁদরামি
আবার,
তার গুনবান দৌহিত্র ভাড়াটে ও মেয়েলি পনা চিকামারা, পাঠকের সাথে মুধর মিতালি পাতিয়েছে।
(সমাপ্ত)
লেখক ও সংকলক
মোঃ ইজাবুল আলম
(সব পর্ব এক সাথে দেখতে এখানে ক্লিক করুন- সব পর্ব)
No comments:
Post a Comment